সাত বছরের শিশু তোফাজ্জল অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদ ফুফু, ফুফুর জামাতা, শ্বশুর ও দুই চাচাসহ সাতজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১২) জানুয়ারি বিকেলে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আতিকুর রহমান সন্দেহভাজন সাত আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কারাগারে প্রেরণকৃতরা হলেন, উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের চারাগাঁও’র সীমান্তগ্রাম বাঁশতলার কালামিয়ার ছেলে নিহত শিশু তোফাজ্জল হোসেনের ফুফা সেজাউল কবির, মৃত আব্দুস ছোবানের ছেলে সেজাউলের পিতা কালা মিয়া, সেজাউলের স্ত্রী (নিহতের ফুফু) শিউলি আক্তার, একই গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান হবি, তার ছেলে সারোয়ার হাবিব রাসেল, জয়নাল আবেদীনের দুই ছেলে (নিহতের চাচা),লোকমান হোসেন ও সালমান হোসেন।
এর আগে শিশু তোফাজ্জল হোসেনকে অপহরণ করে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ এনে তোফাজ্জেলের পিতা জুবায়ের হোসেন বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে শনিবার (১১ জানুয়ারি) গভীর রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাহিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, শিশু তোফাজ্জল অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের মামলায় সন্দেহভাজন সাত আসামিকে আজ দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করে প্রত্যেক আসামিকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ হতে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
মামলাটি খুব জঠিল হলেও রিমান্ডে এনে আসামিদের পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদে আশা করি খুব শীঘ্রই এ শিশু অপহরণ ও হত্যা রহস্য উন্মোচিত হবে।
উল্লেখ্য , নিখোঁজের তিনদিন পর শনিবার ভোররাতে তাহিরপুর সীমান্তে সিমেন্ট’র বস্তাবন্দী অবস্থায় তোফাজ্জল হোসেন (৭) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।নিহত তোফাজ্জল উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের জুবায়ের হোসেনের ছেলে ও প্রথম শ্রেণিতে পড়–য়া স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
Development by: webnewsdesign.com