নিউজ ডেস্ক, সিলেট:: সিলেটে স্বামীর হাতে প্রাণ হারানো সৈয়দা তামান্না বেগমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) মাগরিবের নামাজের পর সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার বড় মুকাম কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।তামান্নার পারিবারিক সূত্র বিষয়টি জানিয়েছে।
এর আগে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় তামান্নার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
গতকাল সোমবার (২৩ নভ্ম্বের) দুপুর দেড়টায় নগরীর উত্তর কাজীটুলার এলাকার অন্তরঙ্গ ৪/এ বাসার দুতলার তালাবদ্ধ একটি কক্ষ থেকে নববধূ সৈয়দা তামান্না বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগ থেকেই তামান্নার স্বামী আল মামুন পলাতক রয়েছেন।
পুলিশের বক্তব্য, রোববার (২২ নভেম্বর) রাতের কোনো এক সময় তামান্নাকে শ্বাসরোদ্ধ করে খুন করে পালিয়ে গেছেন মামুন। তবে তার দুলাইভাইকে গতকাল রাতে আটক করেছে পুলিশ।
মো. আল মামুনের জন্মস্থান বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার হোগলারচরে। তবে তার ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানায় রয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বারুতখানা এলাকার নাম। আইডি কার্ডে উল্লেখ, তিনি বারুতখানা এলাকার আবুল কাশেম সরদার ও আমম্বিয়া বেগমের ছেলে। তবে আইডি কার্ডটি ভূয়া বলে জান গেছে।
তামান্না বেগম দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের ফুলদি গ্রামের সৈয়দ ফয়জুল হোসেনের মেয়ে। তবে মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার এমসি একাডেমি সংলগ্ন একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।
এদিকে, সৈয়দা তামান্না বেগমকে হত্যার অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রাতে নিহতের ভাই সৈয়দ আনোয়ার হোসেন রাজা বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় এই মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ৫৮)। মামলায় নিহতের স্বামী মো. আল মামুনসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন- এমরান, পরভীন, মা্হবুব সরকার, বিলকিস ও শাহনাজ। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ নং আসামি এমরান (৩০)-কে সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর সোবহানীঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে বাকিরা এখনও পলাতক রয়েছেন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
Development by: webnewsdesign.com