সিলেট নগরীর শামীমাবাদ এলাকার বাসিন্দা জাকিরুল আলম ওরফে আরিয়ান (৩৫)পিতাঃ লাল মিয়া,তার স্ত্রী লাকি বেগম (২৯)পিতাঃফুল মিয়া সহ প্রতারক চক্রের ফাদে সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা সুজন মিয়া (৩৪) সহ অনেকেই।
জানা যায়,গত ০১/১০/২০১৯ জৈন্তাপুর এলাকার একটি জমির ৩২ ধারার কাগজ ও দখলমুক্ত করে দেয়ার নাম করে ভূয়া কাগজ দেখিয়ে সুজন মিয়া (৩৪) এর মাধ্যমে লন্ডন প্রবাসী হাসান আহমেদের কাছ থেকে বিভিন্ন মেয়াদে ২৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্রটি।
অতঃপর ভূয়া কাগজ ও কাজ করতে টালবাহানা করায় সুজন মিয়া প্রতারক আরিয়ান এর কাছে টাকা ফেরত চাইলে কিসের টাকা বলে অস্বীকার করে মারধর করে।
এমতাবস্থায় সুজন দিশেহারা হয়ে স্থানীয় মুরুব্বিদের অবগত করেলে মুরুব্বিগন সমাধানে ব্যার্থ হন। এতে সুজন মিয়া নিরুপায় হয়ে আদালতে প্রতারনার একটি মামলা দায়ের করেন যার নং ৭৫।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে জাকিরুল আলম আরিয়ান, ও তার স্ত্রী লাকি বেগম সহ প্রতারক চক্রটি স্থানীয় বখাটেদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন যাবত নিরীহ মানুষের কাছ থেকে সরকারি চাকরি ও বিভিন্ন ব্যাবসার লোভ দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে,এই চক্রের প্রতারনার শিকার হয়েছেন খোকন দেবনাথ,জুয়েল আহমদ,ফেরদৌস আলম,খালেদ হাসান সহ আরো অনেকেই।
এই প্রতারক চক্রটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বড় বড় নেতার নাম ব্যবহার করে ও তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে লোকজনকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে আসছে।
জানাযায় চক্রটি বিভিন্ন কায়দায় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
ভূক্তভোগীরা প্রতারক আরিয়ানের কাছে টাকা চাইতে গেলে সে সামনে না এসে তার স্ত্রী লাকি বেগমকে দিয়ে কথা বলায় ও ডি.সি,এস.পি.র্যাব ও প্রভাবশালী নেতাদের ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বলে আর বেশি বাড়াবাড়ি করলে হামলা ও মামলার হুমকি দেয়।
হামলা মামলার ভয়ে ভূক্তভোগীরা নিরুপায়।
উল্লেখ্য কিছুদিন পূর্বে জাকিরুল আলম আরিয়ান ভূয়া সাংবাদিক পরিচয়ে পি.ডি.বি অফিসে চাদা চাইতে গেলে তৎকালিন লামাবাজার পুলিশ ফারির ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম তাকে গ্রেফতার করেলে সে আর প্রতারনা করবে না বলে মুচলেকা দিলে ছেড়ে দেয়া হয় কিন্তু অভিনব কায়দায় সে তার প্রতারনা ব্যাবসায় বিলাসী জীবন চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে তাকে ফোন দিয়ে তার আয়ের উৎস জানতে চাইলে তার স্ত্রী লাকি বেগম ফোন রিসিভ করে বলেন তার স্বামী মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে লাখ টাকা বেতনের চাকরি করে।
কোম্পানির নাম জানতে চাইলে লাইন কেটে দেয় পরে আর ফোন রিসিভ করেন নি।
বর্তমানে ভুক্তভোগীরা খুবই অসহায় ও নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন তাই তারা প্রশাসনের সুদৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করছেন।
Development by: webnewsdesign.com