শ্রীমঙ্গলে এ পর্যন্ত ১০ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজনকে মৌলভীবাজার সদর ও সিলেট হাসপাতালে তিনজন রেফার্ড করা হয়েছে। বাকীদের সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে স্থানীয়ভাবে নিজ দায়িত্বে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রন্তরা ঢাকা ট্রাভেলার।
শনিবার সকাল পৌণে ১২টায় এ তথ্য নিশ্চিত করছেন শ্রীমঙ্গল সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মহসিন।
তিনি জানান,আশিদ্রোন ইউনিয়নের রামনগর বস্তির মো.কালাম (২৮),সিন্দুরখান চাবাগানের পল্লবী উড়িয়া(১৩) গত ৩০ জুলাই সকালে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
চিকিৎসা নিতে আসেন। এদের দুজনের প্যাথলজী রিপোর্ট পরীক্ষায় ডেঙ্গু সনাক্তের পর ওইদিনই মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে তাদের রেফার্ড করা হয়।
এদিকে একই উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের সিক্কা দুগাঙ্গা গ্রামের আনসার সদস্য শফিকুল ইসলাম(৩৭) গত ২৯ জুলাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর নিজ দায়িত্বে বাড়ী ফিরে যান। তিনি ঢাকা ট্রাভেলার।
তিনি আরও জানান, গত ২৮ জুলাই সরকারি হাসপাতলে চিকিৎসা নিতে আসেন শ্রীমঙ্গলের বিজিবি সদস্য সাজ্জাদ হোসেন(৩৯) তিনি ঢাকা ট্রাভেলার। তাকে ২৯ জুলাই ওসমানীতে রেফার্ড করা হয়। গত ২৬ জুলাই শ্রীমঙ্গল শহরের পপুলার ডায়গনস্টি সেন্টারে ১৭ বছর বয়সী আরিফ চিকিৎসা নিতে আসেন। তিনিও ঢাকা ট্রাভেলার। তিনি নিজ দায়িত্বে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জুলাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন শ্রীমঙ্গলের বিজিবি সদস্য আশিকুর রহমান(২২)। তিনি সরকারি কাজে ঢাকা থেকে ফিরে আক্রান্ত হন। একই উপজেলার হরিণ ছড়া চাবাগানের মৃত্তিকা(১৮) ও কালাপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের রুমি বেগম(১৫) গত ২৯ জুলাই সদর হাসপাতোলে ভর্তি হন। সেখান থেকে তাদের ৩০ জুলাই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এছাড়া সিন্দুরখানের সমীর কুমার(২১) তিনি ঢাকায় চাকুরী করেন। তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৯ জুলাই মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শ্রীমঙ্গল ইউনিয়নের সঞ্চিতা পাল(৪৭) মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে নিজ দায়িত্বে বাড়ী ফিরেন।
জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচও ডাঃ সাখাওয়াৎ হাসান বলেন, এখন পর্যন্ত শ্রীমঙ্গলের সরকারী হাসপাতোলে চিকিৎসা নিতে আসা তিনজন রোগীর ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। বাইরে হয়তো আরো আছে যারা হয়তো আমাদের এখানে চিকিৎসা নেয়না সররাসরি মৌলভীবাজার বা অন্য কোথাও চলে যাচ্ছেন। গত দুইদিনে শ্রীমঙ্গল সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী আর বাড়েনি।
অন্য যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৌলভীবাজার ও সিলেটে ভর্তি হয়েছেন তারা ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন। তবে সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হচ্ছে সামনে ঈদের ছুটিতে যারা বাড়ি আসবেন তাদের নিয়ে। কারণ শ্রীমঙ্গলের লোকজন তো খুব বেশী যাতায়াত করেন ঢাকায়। এডিশ মশার জন্ম নিতে তিনদিন স্ব”ছ পানি লাগে,শ্রীমঙ্গলের ভুমি তো উঁচু,তাই এখানে তিন দিন সাধারণত পানি জমে থাকে না। তাই এখানে এডিশ মশার জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনাটা কম। তবে বাড়ীর আঙিনা বাসা বাড়ীর ছাদ আশপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার পরি”ছন্নতার জন্য আমরা এ নিয়ে জনসচেতনতা বাড়িয়েছি।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
Development by: webnewsdesign.com