সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের শাল্লায় সালিশের নামে কিশোরীকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চেয়ারম্যান মেম্বার মিলে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।শুক্রবার সকালে উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে এ ঘটনাটি ঘটে।
তবে পুলিশ বলছে,কিশোরীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার।
একাধিক সুত্র জানায়,উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের বাহাড়া গ্রামের মলয় দাসের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই কিশোরীর।বিয়ে না করায় গত জানুয়ারিতে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে ওই কিশোরী।এতে প্রেমিক মলয় দাস দীর্ঘ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হয়ে অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতি নিলে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ওই কিশোরী মলয়ের বাড়িতে অবস্থান নেয়।পরে মলয়ের পরিবার বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টুকে জানায়।
কিছুক্ষণ পর চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু মলয়ের বাড়ি গিয়ে বিষয়টি সমঝোতা করে দেয়ার কথা বলে ওই কিশোরীকে রাতেই বাড়ি পাঠিয়ে দেন।সকালে তাকে সালিশের কথা বলে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন।
ভুক্তভোগী কিশোরীর অভিযোগ,অফিসের একটি কক্ষে ওই কিশোরীকে চেয়ারম্যান নান্টু ও তার পরিষদের মেম্বার দেবব্রত দাস মাতবর মিলে গণ ধর্ষণ করেন।পরে কোনো মতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হয়ে ওই কিশোরী প্রাণভয়ে থানায় আশ্রয় নেয়।তবে মামলা না নিতে পুলিশকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চলছে বলে স্থানীয় একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
এ ব্যাপারে বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টুর মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.আমিনুল ইসলাম জানান,কিশোরী থানায় আছে।আমরা মহিলা পুলিশের মাধ্যমে যতটুকু জানতে পেরেছি,ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার ওই কিশোরীকে শ্লীলতাহানি করেছে।অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |
Development by: webnewsdesign.com