পয়লা অগ্রহায়ণ থেকে শুরু হয়েছে নবান্নের আমেজ। আগাম জাতের ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হওয়ায় নবান্নের ঘ্রাণে এখন মুখরিত মৌলভীবাজারের বাতাস।
মৌলভীবাজারের মাঠে মাঠে চলছে ধানকাটা উৎসব। অন্যদিকে কৃষকের ঘরে ঘরে চলছে নতুন ধানের নতুন চালের পিঠাপুলির আয়োজন।
এবার মৌলভীবাজারে ব্রি-৭৫ এর ফলন ভাল হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কম সময়ে অধিক ফলন হয় এমন জাতের ধানই হচ্ছে ব্রি-৭৫। এ ধান ১১৫ দিনে কাটার জন্য উপযোগী হয়ে যায়। এই ধানের চাল সরু হওয়ায় অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন। হেক্টর প্রতি এ ধানের উৎপাদন সাড়ে ৫ মেট্রিক টন পাওয়া গেছে।
ধান কাটার পর একই জমিতে রবিশস্য যেমন সরিষা, সুর্যমূখি, ভুট্টা, ডালের আবাদ শুরু হবে। এখন ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে রবিশস্য’র আবাদ নিয়ে পরিকল্পনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। রবিশস্য’র ব্যাপারে কৃষি অফিসের সঠিক পরামর্শ আশা করছেন।
কৃষকরা বলছেন, সরকার কৃষি খাতে ভর্তুকি দেয়। কিন্তু কৃষি অফিস থেকে কোন ধরণের সহযোগীতা করেনা। তারা কোন খোঁজ খবরও নেয় না। পোকার আক্রমণে ফসল নষ্ট হয় কিন্তু তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই রবিশস্য’র নতুন মৌসুমে তাদের এই দুর্ভাবনাটি মাথায় আসছে।
কৃষক সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহিন জানান, এ বছর ১৩০ কেয়ার জমিতে রোপা আমন ব্রি ধান-৪৯, বিআর ১১ ও পরিক্ষামূলক ২ কেয়ার জমিতে ব্রি ধান-৭৫ চাষ করেছেন। প্রত্যেকটি জাতের ধানের ফলন ভাল হয়েছে। এর মধ্যে স্বল্পকালিন ব্রি ধান-৭৫ আশাতিত ফলন হয়েছে। গতবছর আমন মৌসুমে ১৩০ কেয়ার জমিতে ১ হাজার ৯শত ৭০ মন ধান পেয়েছেন। এ বছরও ২ হাজার মনের বেশি ধান পাবেন বলে আশাবাদি। তবে তিনি ধানের ন্যায্যমূল্য পাবেন কিনা এ নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজারের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী জানান, এবছর রোপা আমনের আবাদ হয়েছে ১লক্ষ ১শত ৫০ হেক্টর জমিতে।
তিনি জানান, এ মৌসুমে ব্রি ধান-৪৯ সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে। এছাড়াও চাষ হয়েছে হাইব্রিড, ব্রি-৫৮, ব্রি-৫২ ধান। নতুন ধান ব্রি-৭৫ ভালো হয়েছে। এছাড়াও ব্রি ধান-৭১, ব্রি ধান-১৪ ফলন ভালো হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com