করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ রোগটি বায়ুবাহিত অর্থাৎ বাতাসের মাধ্যমে ছড়ানো সম্ভব বলে নতুন গাইডলাইনে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন।
সিডিসি তাদের ওয়েবসাইটের আপডেটেড পেজে লিখেছে, ‘শ্বাস-প্রশ্বাসের ড্রপলেট অথবা ছোট কণা যেগুলো বাতাসে ভেসে বেড়ায় তার মাধ্যমে করোনা ছড়ানো সম্ভব।’
সিডিসির ওয়েবসাইটে করোনা সংক্রমণের ‘প্রধান’ কিছু উপায় দেয়া আছে। সেই তালিকায় আগে বাতাসের বিষয়টি ছিল না। সম্পাদনার পর মাধ্যমটি (বাতাস) যুক্ত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা এর আগে বলছিলেন, নভেল করোনাভাইরাস প্রধানত মানুষের মাধ্যমে ছড়ায়, যখন তারা একে-অপরের খুব কাছে আসেন, ৬ ফুটের মধ্যে হাঁচি, কাশি দিলে অথবা কথা বললে।
মহামারী প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বায়ুবাহিত বা এয়ারবর্ন ট্রান্সমিশন সম্পর্কে সচেতন থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। জনাকীর্ণ পরিবেশের বায়ুচলাচল ব্যবস্থা খারাপ হলে দ্রুততম সময়ে অনেক মানুষ সংক্রমিত হতে পারেন। তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলেও ঘরের ভেতরে মাস্ক প্রয়োজন হতে পারে। তখন স্কুল, নার্সিং হোম, বাসাবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বাতাস চলাচলের নতুন শক্তিশালী ফিল্টারের প্রয়োজন পড়তে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুরু থেকে করোনার বায়ুবাহিত বিষয়টি ধরতে পারেনি। এরপর কয়েক জন বিজ্ঞানী এ বিষয়ে তাদের চিঠি লিখে গাইডলাইন পরিবর্তনের আহ্বান জানান। পরে ডব্লিউএইচও বিষয়টি তাদের গাইডলাইনে যোগ করে।
বায়ুবাহিত ভাইরাস ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র জলকণার মাধ্যমে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় প্রবাহিত হয়। করোনার ক্ষেত্রে অনেকে বলছেন যে তারা বাইরে বের হচ্ছেন না; তবু বাসায় থেকে সংক্রমিত হচ্ছেন।
অসুস্থ মানুষের ড্রপলেটের জলকণাগুলো যখন ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র হয়, তখন বাতাসে ভেসে বেড়ায়। এজন্য এখন ঘরের ভেতরেও সতর্ক থাকা উচিত।
Development by: webnewsdesign.com