জুড়ী প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেট ও আবাসিক ভবন পরিদর্শন করেছেন জেলার তিন মেয়র। সোমবার (১৭ মে) বেলা দুইটার দিকে মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান, কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ, বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবু ইমাম কামরান চৌধুরী, জুড়ী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাশ ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
মেয়র ফজলুর রহমান বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে জুড়ীতে ছাই ভস্ম হয়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছি। ব্যবসায়ীরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। চার থেকে পাঁচটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পার্শ্ববর্তী একটি পাঁচতলা ভবনও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’
ফজলুর রহমান বলেন, ‘বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে সরকার ও আওয়ামী লীগ সবসময় আছে। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সবধরনের সহযোগিতা করা হবে।’
তবে অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা পেতে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান মেয়র। তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক সুইচ, বৈদ্যুতিক লাইন সবসময় চেক করা উচিত। এছাড়া সিগারেটের আগুনসহ অন্যান্য কারণসমূহ সম্পর্কে সচেতন থাকলে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
জুড়ীতে অগ্নিকাণ্ডে কোটি টাকার ক্ষতি
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলা সদরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা যাচ্ছে। প্রায় দুই ঘন্টা কুলাউড়া, বড়লেখা এবং রাজনগরের ফায়ার সার্ভিসের ৬ টি ইউনিটের যৌথ প্রচেষ্টায় আগুণ নিয়ন্ত্রণে আসে।রোববার ( ১৬ মে) রাত ৯ টার দিকে জুড়ী চৌমোহনা পয়েন্টে এম এ মোমিত আসুক চত্বরের পাশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে মার্কেটের করিম মিষ্টির বক্স তৈরির দোকান থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে আগুন দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপদ দুরত্বে চলে যান। ভাঙ্গারি দোকানের কাগজ ও প্লাস্টিক, পেট্রোলিয়াম, গ্যাস সিলিন্ডার ইত্যাদির কারণে আগুনের ভয়াবহতা মারাত্বক আকার ধারণ করে। একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হতে থাকে। ৪-৫ কিলোমিটার দূর থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুলাউড়া, বড়লেখা ও রাজনগর ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।
প্রায় আড়াই ঘন্টার চেষ্টায় ফায়ার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা, সিগারেটের অংশ থেকে আগুন করিম মিষ্টির বক্স তৈরীর দোকানে লেগে যায়। মুহুর্তের মধ্যে তা পাশ্ববর্তী আর এন পেট্রোলিয়াম দোকান ও শরীফ গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়।
প্রথমে কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আসলে তারা ঘন্টাখানেক কাজ করার পরও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে বড়লেখা ফায়ার সার্ভিসের আরেকটি টিম আসে। এরপর রাজনগরের ফায়ার সার্ভিসের টিম এসে তাদের সহযোগিতা করে।
আগুনে শরীফ গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান, আর এন পেট্রোলের দোকান ও করিম মিষ্টির বক্স তৈরীর দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়, পাশ্ববর্তী পাঁচতলা নুর জলিল ভবনের বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুন লাগার সাথে সাথে মসজিদের মাইক থেকে ভবনের সবাইকে বের হওয়ার আহবান জানানো হয়। মাইকিং শুনে সবাই বের হয়ে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান রুহুল ইসলাম, কুলাউড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাদেক কাউছার দস্তগীর, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, জুড়ী থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী, বড়লেখা থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
ফায়ার সার্ভিস মৌলভীবাজারের উপ পরিচালক আব্দুল্লাহ হারুন পাশা বলেন, আগুনে কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বা কিভাবে আগুন লেগেছে এটা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |
Development by: webnewsdesign.com