চুনারুঘাট উপজেলার আমরোড কালামন্ডল গ্রামে পুত্রকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করার অপরাধে সফিক মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গত ১২ নভেম্বর সফিক মিয়ার পুত্র এমরান তারই প্রতিবেশী সিদ্দিক মিয়ার এইচএসসি পড়ুয়া কন্যাকে ইভটিজিং করে বলে অভিযোগ করেন তার পরিবার। খবর পেয়ে চুনারুঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত ফাতিমা পুলিশ নিয়ে এমরান কে ধরতে অভিযান চালান। কিন্তু এসময় তাকে পাননি। তখন পিতা সফিক মিয়া নয়নকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন বলে প্রতিয়মান হওয়ায় তার পিতা সফিক মিয়াকে আটক করা হয়। পরে ছেলেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করায় অপরাধে তাকে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পুলিশ সন্ধ্যায় সফিক মিয়াকে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনার পরদিন বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদ তৈরির জন্য সফিক মিয়ার ছবি সংগ্রহ করতে সাংবাদিকরা থানায় যান। এসময় ওসিসহ পুলিশ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এমনকি মোবাইলও কেড়ে নেন বলে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। পরে মোবাইল না নিয়েই সাংবাদিকরা ফিরে এলে রাত ৯ টার দিকে চুনারুঘাট উপজেলার এক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের হস্তক্ষেপে মোবাইল ফেরত দেয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা ও ব্যবহার নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে।
তবে এ ব্যাপারে সিলেট চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘থানা সাংবাদিকদের কাছে বিক্রি করে দেইনি। তারা এসে হাজতখানা থেকে কারো ছবি উঠাবে। এ ব্যাপারে আমার কোন বক্তব্য নেই। যারা ছবি উঠাতে এসেছিলো তাদের জিজ্ঞাস করেন’।
এদিকে এসব ব্যাপারে অবগত নয় বলে জানিয়েছেন হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা। তিনি বলেন, ‘ব্যাপারটা সম্পর্কে আমি অবগত নয়। আমি সরকারি কাজে সিলেটে এসেছি। তবে একে অপরের মধ্যে সৌহার্দপুর্ন সম্পর্কের মধ্যদিয়ে কাজ করা যায়। থানার ভিতরে কোন ছবি উঠালে নিয়ম হচ্ছে ওসি সাহেবকে জানানো। তবে আমি যেহেতু অবগত হলাম ব্যাপারটা আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
Development by: webnewsdesign.com