অবিরাম বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে হুহু করে বাড়ছে সীমান্ত নদী কুশিয়ারা পানি। জকিগঞ্জের বীরশ্রী ইউনিয়নের বড়চালিয়া গ্রামের প্রায় ১৫০ মিটার কুশিয়ারা বেড়ীবাঁধ ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে।
শুধু বড়চালিয়া নয় একই ভাবে মানিকপুর, পশ্চিম গদাধরসহ বেড়ীবাঁধের বেশ কয়টি স্থান রয়েছে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে। বারবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করেও বেড়ীবাঁধ নির্মাণের কোন লক্ষণ দেখছে না স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে চরম আতংকে রয়েছেন গ্রামের লোকজন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজের ধীরগতি আর অবহেলার কারণে অনেক পরিবার এখন ভূমিহীন।
নদীভাঙ্গন রোধ প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে গত কয়েকমাস পূর্বে গাড়ী চলাচলের জন্য বড়চালিয়া গ্রামে কুশিয়ারা ডাইকের কিছু অংশ তারা কেটে ফেলে তারা কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
এছাড়াও নদীতে বিলীন হয়েছে আরোও প্রায় ১০০ মিটার বাঁধ। বর্তমানে উক্ত স্থান দিয়ে কুশিয়ারা নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়লে গ্রামবাসীসহ জকিগঞ্জের বেশীরভাগ এলাকা তলিয়ে যাবে পানিতে। ফলে করোনা দুর্যোগের সময় ভয়াবহ বন্যার আশংকায়ও ভুগছেন স্থানীয়রা।
বড়চালিয়া গ্রামের বাসিন্দা সুভাষ পাল জানান, ‘ভাঙ্গনের কারণে বারবার বাড়ী বদল করতে গিয়ে এখন প্রায় নিঃস্ব। বেড়ীবাঁধটি জরুরী ভিত্তিতে নির্মাণ না হলে আমাদের থাকার শেষ সম্বলটিও আর থাকবে না।’
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হক ও জগদীশ পাল জানান, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড শুষ্ক মৌসুমে কাজ না করে শেষ মুহূর্তে এসে জোড়াতালি দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করে তাতে বেশীরভাগ সময় পানি উন্নয়নের টাকা পানিতেই যায়। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় নদী পাড়ের মানুষদের।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, ‘কুশিয়ারা বেড়ীবাঁধটি নদীতে তলিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমরা অবগত আছি। টেন্ডারের মাধ্যমে বাঁধটি নির্মাণের ব্যবস্থা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজন কুমার সিংহ বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহিত আলোচনা করে কুশিয়ারা নদীর বেড়ীবাঁধ জরুরী ভিত্তিতে নির্মাণের ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
Development by: webnewsdesign.com