করোনা যেন কখনই আঘাত হানেনি! শায়েস্তাগঞ্জের মানুষ যেন করোনাকে চিনেই না। যেন এখানে কোন লকডাউনই নেই। যার যেমন খুশি ইচ্ছামত চলছেন মানুষ। কোনোরকম স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই দেদার চেয়ে চলছে কেনাকাটা। ঈদ কেনাকাটায় নেই কোন সামাজিক দূরত্ব। নারী-পুরুষ, শিশু কিশোর যুবক-বৃদ্ধ কেউ বাকি নেই ঈদের কেনাকাটায় বের হচ্ছেন না। সবাই বের হলেও ভয়ের কথা কেউ মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকেও স্বাস্থ্যবিধিতে নেই কোন মনোযোগ। সবাই এখন ব্যস্ত ব্যবসা নিয়ে।
রোববার (১৭ মে) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি ও নেই শারীরিক দূরত্ব, কার আগে কে কেনাকটা করবে এই নিয়ে যেন প্রতিযোগিতা চলছে। এদিকে শায়েস্তাগঞ্জের ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তেরও কোন বাস্তবায়ন নেই। প্রথমে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় দোকানপাট ও শপিং মল না খুলার সিদ্ধান্তের কথা জানালেও এখন কেউ মানছেন না এ সিদ্ধান্ত । আর এতে ক্রেতারা কোনো ধরনের শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ভিড় করে জামা-কাপড় কিনছেন।
এর আগে গত ১১ মে থেকে দোকানপাট খুলা শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিশেষ করে শহরের কাপড়ের দোকান গুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
রেশমা আক্তার নামে এক ক্রেতা বলেন, ঈদের আর কয়েকদিন বাকি। ঈদে বাচ্চাদের নতুন জামা কাপড় কিনে দিতে হবে। তাই নতুন কাপড় কিনতে মার্কেটে এসেছেন। কেনাকাটা করতে এসেতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা যায় না।
গত ১০ মে থেকে সারা দেশে সীমিত আকারে সরকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দিলেও জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় শায়েস্তাগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি ও দাউদনগর বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ আলাপ আলোচনা করে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন ঈদ পর্যন্ত। তবে ১১ মে সকাল থেকেই কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত না মেনে শায়েস্তাগঞ্জের দাউদনগর বাজারে প্রায় অধিকাংশ দোকান খোলা রেখে কাপড়, কসমেটিকস ও জুতা বিক্রি করছেন। এতে জনসাধারণরা কোনো ধরনের শারীরিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ভিড় করে তাদের কেনাকাটা করছেন। এরফলে শায়েস্তাগঞ্জের মানুষদের চরম করোনা-ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুকিত বলেন, আমাদের ব্যকসের আওতাধীন ব্যবসায়ীরা বলতে গেলে দোকানপাট খুলছেন না, হয়তো দু’চারজন দোকান খোলা রাখছেন। আমরা তাদের সাথে আলাপ করে বন্ধ করে দিবো।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমী আক্তার বলেন, সরকারী নির্দেশনা মেনে দোকানপাট সীমিত আকারে খুলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। যদি ব্যবসায়ী ও ক্রেতাগন সরকারী নির্দেশনা না মানেন তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সৌজন্যে :: সিলেট ভয়েস
Development by: webnewsdesign.com