করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও সিলেটে ঈদের কেনাকাটায় মগ্ন অনেকেই। অনেকটা বেপরোয়া হয়েই কেনাকাটার জন্য লোকজন ছুটছেন বিভিন্ন বিপণী বিতানগুলোতে। যার ফলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে বাদ পড়ছে না মার্কেটে আসা নানান বয়সের শিশুরাও।
মঙ্গলবার সিলেট নগরীর বিভিন্ন মার্কেট আর বিপণী বিতান ঘুরে চোখে পড়ে এমনটা। ঈদের কেনাকাটার জন্য পর্যাপ্ত নিয়ম মেনে গুটিকয়েক বিপণী বিতান আর দোকানপাট খোলা রাখার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও অনেকক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না নিয়মশৃঙ্খলা। এর জন্য উৎসুক ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়পক্ষকেই দায়ী করছেন সচেতন মহল।
মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দিনদিন বাড়তে থাকলেও এসবের তোয়াক্কা না করেই লোকজন ছুটছেন মার্কেটে। পর্যাপ্ত সাবধানতা অবলম্বন না করে কেনাকাটার এমন হিড়িক থেকে বাদ পড়ছে না শিশুরাও। ফলে বাড়ছে মার্কেটে আসা শিশুদের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। এছাড়াও ঈদের কেনাকাটায় শিশুসহ আসা অভিভাবকদের অনেকে নিজেরা মাস্ক আর গ্লাভস পরিহিত অবস্থায় থাকলেও কোলের শিশুকে অরক্ষিত রেখেই কেনাকাটা করছেন অবাধে। মার্কেটে আসা মানুষের উপচে পড়া ভিড় ঠেলেই ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে কাপড় আর প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ে ব্যস্ত অবিভাবকরা।
সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ রাস্তার ধারের বিভিন্ন দোকানপাট, বিপণী বিতান, বন্দর বাজারস্থ হাসান মার্কেটসহ কেনাকাটার জন্য খোলা রাখা প্রায় সকল মার্কেটে চলছে একই অবস্থা।
হাসান মার্কেটে কোলের বাচ্চাসহ ঈদের কেনাকাটা করতে আসা এক অভিবাবকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন, আমার ৫ বছরের বাচ্চা বায়না ধরেছে কেনাকাটা করতে মার্কেটে আসবে। তার পছন্দে কাপড় কিনতে তাকে সাথে নিয়ে এসেছি।
শিশুর মুখে মাস্ক নেই কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, শিশু বাচ্চার আবার ভাইরাসের কিসের ভয়? বাচ্চাদের করোনা হয় না।
করোনা ভাইরাসের দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার এমন সংকটকালে ঈদের কেনাকাটায় শিশুদের সাথে নিয়ে আসায় বিপদের আশংকা বাড়ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
সৌজন্যে :: সিলেট ভিউ২৪
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |
Development by: webnewsdesign.com