কমলগঞ্জের ধলাই নদীর নাব্যতা ফিরে আনতে ও স্থায়ী বন্যা সমস্যা সমাধানের জন্য ২২টি স্থানের চর অপসারণের কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার। এ চর অপসারণ কাজ সমাপ্ত হলে ধলাই নদীর পানি প্রবাহে সহজতর হবে এবং বন্যা থেকে কিছুটাও মুক্ত পাবেন বলে ধারণা করছে এলাকাবাসী। তবে কিছু অংশে দায়সারা ভাবে কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, ১৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩টি প্যাকেজে চর অপসারণ কাজ চলছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে ২২টি বড় চর অপসারণ কাজ চলমান রয়েছে। ধলাই নদী এলাকার পাত্রখোলা থেকে পানিশালা পর্যন্ত ১১টি বড় বড় চর, ভানুগাছের বড়গাছ থেকে খেয়াঘাট পর্যন্ত ৬টি চর ও করিমপুর থেকে ধর্মনগর পর্যন্ত ৫টি চর অপসারণ করা হবে। এই কাজের জন্য গত বছরে ওয়ার্ক অর্ডার হলেও নানা জটিলতায় কিছুটা বিলম্বে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কাজ শুরু হয়েছে। নদীর গুরুত্বপূর্ণ ২২টি চর অপসারণ হলে পানি প্রবাহে সহজতর হবে এবং বন্যা থেকে কিছুটাও লাঘব হবে বলে সংশিষ্টরা দাবি করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, আকাবাঁকা ও ইউ আকৃতির ধলাই নদীতে অসংখ্য চর দেখা দিয়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। অল্প বর্ষণেই উজানের পাহাড়ি ঢলে নদী ফুলে ফেঁপে উঠে। প্রবল স্রোতে বাঁক ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দেয়। নদীভাঙ্গনে বাড়িঘর, ফসলি জমি ও গ্রাম্য রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এ কারণেই ধলাই নদীকে কেউ কেউ কমলগঞ্জবাসীর দু:খ হিসেবে মনে করেন।
কৃষকদেরও দীর্ঘদিনের দাবি, এই নদী খনন ও সংস্কার। বিগত বছরে বর্ষা মৌসুমে নদীর একাধিক স্থানে ভাঙ্গন ও বাঁধের বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ফাটল দেখা দেয়। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড চলতি মৌসুমে নদীর ২২টি স্থানে চর অপসারণ শুরু করেছে।
এদিকে চর অপসারণ কার্যক্রম নিয়ে নিয়ে স্থানীয়রা আপত্তি তুলেছেন। কিছু কিছু অংশে যেভাবে এসকোভেটর দিয়ে নদীর তলের বালু উপরে তুলা হচ্ছে তা অপরিকল্পতি বলে মনে করছেন। তাদের অভিযোগ, বর্ষা মৌষুমে পানি স্রোতে আবার পার অংশ ভেঙ্গে পড়ে আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। বিশেষ করে ধলাই নদীর ভানুগাছ নতুন ব্রিজ, আলেপুর অংশ, তিলকপুর নামক অংশে বালু সঠিক ভাবে অপসারণ করা হচ্ছে না। নামমাত্র বালু নিচ হতে উপরে তুলছে ঠিকাদার।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী সাইট কর্মকর্তা সাকিব আহমেদ বলেন, ধলাই নদীর ভানুগাছ নতুন ব্রিজের সামনে ডিজাইন অনুয়ায়ী কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে বাকী চরগুলোতে কাজ সঠিক ভাবে হচ্ছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জানান, ধলাই নদীর ২২টি স্থানে বড় বড় চর অপসারণ কাজ চলমান রয়েছে। আগামী মে মাস পর্যন্ত এই কাজের মেয়াদ রয়েছে। চর অপসারণ করা হলে নদীর স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে ও বন্যা সমস্যার লাঘব হবে বলে দাবি করেন তিনি। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
Development by: webnewsdesign.com