নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের এমসি (মুরারিচাঁদ) কলেজ থেকে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে তরুণীকে ধর্ষনের ঘটনায় ছাত্রলীগের ৪ কর্মীর নাম উঠে এসেছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ রাতভর অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু রাত ৩টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ধর্ষিতা তরুণীকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলো- এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শাহ মাহবুবুর রহমান রণি, একই কলেজের শিক্ষার্থী এম সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর এবং বহিরাগত তারেক আহমদ। এদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি প্রাইভেট কারযোগে স্বামীকে সাথে নিয়ে এমসি কলেজে বেড়াতে আসেন দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির এক তরুণী। ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের ওই ৭ কর্মী মিলে স্বামীসহ ওই তরুণীকে তুলে নেন পার্শ্ববর্তী কলেজ ছাত্রাবাসে। পরে তারা স্বামীকে বেঁধে মারধর করে ওই তরুণীকে ধর্ষন করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে স্বামীসহ ওই তরুণীকে উদ্ধার করেন। পরে ধর্ষিতাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়। ধর্ষনের ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন সরকার দলীয় স্থানীয় কয়েকজন নেতা। এতে সময়ক্ষেপণ হওয়ায় ধর্ষকরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
জানা গেছে, অভিযুক্ত সাইফুর রহমানের বাড়ি বালাগঞ্জে, অর্জুনের বাড়ি জকিগঞ্জে, রণি হবিগঞ্জের ও তারেক জগন্নাথপুরের বাসিন্দা।
করোনা পরিস্থিতির কারণে কলেজ ছাত্রাবাস বন্ধ থাকলেও এরা প্রতিদিন ছাত্রাবাসে জুয়া ও মাদকের আসর বসাতো। টিলাগড় ও বালুচর এলাকায় ছিনতাইর সাথেও এই গ্রুপটি জড়িত বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |
Development by: webnewsdesign.com