ইউসুফ আহমদ ইমন, কুলাউড়া :: তিনি বিশ্বাস করেন সৎভাবে কাজ করলে সাফল্য আসবেই আসবে। সাফল্য এমনি আসেনা। সাফল্যের জন্য প্রয়োজন সততা, ধৈর্য, পরিশ্রম ও কর্মনিষ্ঠা। সততা মানুষকে অনন্য মর্যাদার অধিকারী করে। এ কথা গুলো যাকে নিয়ে বলা তিনি হলেন কুলাউড়া সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এবং ইয়াকুব-তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রভাষক আফাজুর রহমান চৌধুরী (ফাহাদ)।বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারকবাহক হয়ে শিক্ষা জীবনে তিনি ছাত্রলীগের পতাকা তলে ঠাঁই নিয়েছেন। তিনি ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রীয় কর্মী ছিলেন।
এলাকার গণমানুষের গ্রহনযোগ্যতা অর্জনকারী হিসেবে তিনি চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহনের জন্য প্রার্থী হিসেবে ব্যাপকভাবে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তার সমর্থনে ইউনিয়নের সাধারন মানুষ, সুধীজন, শিক্ষক ও বিভিন্ন পেশা শ্রেনীর মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন।
ইউনিয়নের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, প্রভাষক ফাহাদ চৌধুরী আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হবে। তাই তাকে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় কুলাউড়া সদর ইউনিয়নবাসী। স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ তাকে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চায়।
এ ব্যাপারে প্রভাষক ফাহাদ চৌধুরী’র সাথে কথা বললে তিনি জানান, নিজের জন্য নয় পরিবর্তনের জন্য নির্বাচন করবেন। ন্যায় বিচার, নাগরিক সেবা, সু-সমবন্টন ছাড়াও সরকারি সকল সেবা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাবেন। বার বার উন্নয়ন বঞ্চিত সদর ইউনিয়নের মানুষ আসন্ন নির্বাচনে উন্নয়নের প্রত্যাশায় পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিবেন এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি আরো বলেন জনপ্রত্যাশার পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নের কাজ করতে চাই। মানুষের পাশে থাকতে চাই। সরকার প্রতিটি ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট বরাদ্দ দিয়ে থাকেন কিন্তু তা মানুষের কাছে পৌছে না। কিছু কিছু চেয়ারম্যান দুর্নীতি পরায়ন হওয়ায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠির ভাগ্যের তেমন পরির্বতন হয় না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত করলে নাগরিক সুযোগ-সুবিধার লক্ষ্যে সকল কার্যক্রমে ইউনিয়নবাসীর মতামতকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে। সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা ও অধিকারনিশ্চিত করার ব্যবস্থা থাকবে। সরকারি সকল সেবা ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরে পৌছে দেওয়ার জন্য সমাজভিত্তিক সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। সরকারি অনুদান, সাহায্য ও ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তি নিশ্চিত করার জন্য পাড়া, মহল্লা ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তির মতামতের ভিত্তিতে তালিকা প্রণয়ন করা হবে। ইউনিয়ন পরিষদকে আধুনিক ও জবাবদিহিমূলক পরিষদ গড়ে তোলার ব্যবস্থা করা হবে। ইউনিয়নের অর্ন্তগত প্রত্যেকটি স্কুল, মাদ্রাসা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও পাঠাগার যুগোপযোগী কেন্দ্রে পরিণত করা হবে।
দুর্নীতিমুক্ত, মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত এবং উন্নয়ন ও নিরাপদ ইউনিয়ন গড়তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা। তিনি আরোও জানান, আমি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখব ইনশাআল্লাহ ।
এলাকাবাসী বলেন অত্র ইউনিয়নে সম্ভাব্য আরো প্রার্থী থাকলেও তাদের মধ্যে সততা, আদর্শ ও যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে প্রভাষক ফাহাদ চৌধুরী অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। বর্তমানে তারুণ্যের জয়গান সবজায়গায়। ফাহাদ চৌধুরী চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের কাঙ্খিত সেবা পৌঁছে দিতে পারবেন। তাই এবারের ভোট উন্নয়নের পক্ষে যোগ্য ব্যক্তিই পাবেন।
টুডেনিউজ২৪/ইউসুফ ইমন
Development by: webnewsdesign.com