বাড়ছে মানুষের মাঝে আহাজারি।বাড়ছে আতংক। বাড়ছে হতাশাও। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন মানুষ। এই আহাজারির ও উদ্বেগ-উৎকন্ঠার কারণ মরণব্যাধী নবেল করোনাভাইরাস।দিন দিন আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ, সেই সাথে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে।বন্ধ রয়েছে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ, দোকানপাট, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানসহ সবধরনের জনসমাগম।
এতে করে যেমন দেশের মানুষ রয়েছেন দুশ্চিন্তায়।তেমনি ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যেপ্রাচ্যর বিভিন্ন দেশে শ্বাসরুদ্ধকর সময় পার করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। রয়েছেন ঘরবন্দি হয়ে। এতে করে অনেকেই উদ্বেগ-উৎকন্ঠার মধ্যে আছেন। কারণ করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে পৌঁছাবে না। শুধুমাত্র একটা ডেথ সার্টিফিকেটই ভরসা করতে হবে। একদিকে প্রবাসীরা বিভিন্ন দেশে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় আছেন অন্যদিকে তাদের স্বজনরা দেশে থেকেও শান্তিতে নাই। প্রিয় মানুষগুলোর জন্য তাদের প্রতিটা মূহুর্ত কাটছে নানা চিন্তায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ইচ্ছে করলেই প্রবাসীরা দেশের স্বজনদের কাছে আসতে পারবেন না। এমনকি আক্রান্ত হলে তাদের সেবা করার সুযোগ থাকছে না।
দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে ও পরিবারের মুখে হাঁসি ফুটাতে বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের যেমন চিন্তার শেষ নেই, তেমনি স্বজনদেরও।এ থেকে মুক্তি পেতে মুসলিম নারী-পুরুষরা নামাজ ও কোরআন তেলাওয়াতে সময় পার করছেন।এছাড়াও বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা নিজ নিজ ধর্মের রীতি অনুযায়ী বাসা বাড়িতে বসে প্রার্থনা করে যাচ্ছেন।
করোনা ভাইরাস নিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি এখন গোটাবিশ্ব। চীনের উহান প্রদেশ থেকে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সারাবিশ্বে। ইরানের পর ইউরোপের সমৃদ্ধ দেশ ইতালিতে ভয়ানক আঘাত হেনেছে এ ভাইরাস। মৃতের সংখ্যা হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। থমকে গেছে সারা বিশ্ব।এ থেকে মুক্তির পথ একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই ভালো যানেন।আল্লাহর উপর ভরসা রাখি। আল্লাহ কে স্বরণ করি।
আল্লাহ সর্বশক্তিমান
ইউসুফ আহমদ ইমন
সংবাদকর্মী
Development by: webnewsdesign.com