আমেরিকার ৭০টির বেশি শহরে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ

রবিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০২০ | ১১:৪২ অপরাহ্ণ | 566

আমেরিকার ৭০টির বেশি শহরে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) বিশেষ কুদস ফোর্সের প্রধান মেজর জেনারেল কাসেম সোলেমানির হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো মুহুর্তে উভয় দেশের যুদ্ধ লেগে যাওয়ার আশঙ্কার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ৭০টির বেশি শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ।

রোববার (০৫ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানায়।

সংবাদে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনসহ বিভিন্ন শহরে এ বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীরা ‘আর নয় যুদ্ধ’ বলে স্লোগান দেন। এছাড়া বিক্ষোভকারীরা স্লোগানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে ইরাক ও মধ্যপ্রাচ্য ছেড়ে আসার দাবি জানান।

রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি ছাড়াও দেশটির নিউইয়র্ক, শিকাগো, মিয়ামি, মেমফিস, আটলান্টা, ডালাস, সল্ট লেক, লাস ভেগাস, লস অ্যাঞ্জেলস, সান ফ্রান্সিসকোসহ ৭০টির বেশি শহরে যুদ্ধ বিরোধী এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে মার্কিন হামলায় জেনারেল কাসেম সোলেমানি নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিশোধ আসন্ন এমন ইঙ্গিত জানিয়ে পবিত্র মসজিদের চূড়ায় ‘যুদ্ধের লাল ঝাণ্ডা’ উড়িয়েছে ইরান।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) ইরাকের বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস ও সালাহউদ্দিন প্রদেশে মার্কিন সেনাদের বালাদ বিমান ঘাঁটিতে রকেট হামলার ঘটনা ঘটে। এর কয়েক ঘণ্টা পর ইরানের কম প্রদেশের পবিত্র মসজিদ জামকারান’র সর্ব্বোচ্চ গম্বুজে রক্তলাল পতাকা ওড়ানো হয়।

যদিও বাগদাদের মার্কিন স্থাপনায় কারা হামলা চালিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। ওই হামলায় একযোগে ৫টি রকেট ছোড়া হয়। এতে এখন পর্যন্ত ৫ জন আহত বলে জানা গেছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো ইরান জামকারান মসজিদে রক্তলাল পতাকা ওড়ালো। পতাকাটিতে লেখা, ‘যারা হোসেনের রক্তের বদলা নিতে চায়’। এই পতাকা ওড়ানোকে সোলেমানি হত্যার দায়ে আমেরিকার ওপর ইরানের বদলা নেওয়ার অঙ্গীকার হিসেবে দেখা হচ্ছে। সম্ভাব্য যুদ্ধের হুঁশিয়ারি হিসেবেও দেখা হচ্ছে এ পতাকাকে। শিয়া সংস্কৃতিতে লাল পতাকা দিয়ে অন্যায় রক্তপাতের বদলা নেওয়ার প্রতীক।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাতে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেমানি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সোলেমানিকে হত্যা করা হয় বলে নিশ্চিত করে পেন্টাগন।

ওই ঘটনায় ইরানের সর্ব্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আমির হাতামি, ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সাবেক কমান্ডার মোহসেন রেজায়িসহ ইরানের উর্ধ্বতন পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা সোলেমানি হত্যার ঘটনায় আমেরিকাকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন।

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক

Development by: webnewsdesign.com